We R Conostructing This Blog

20101125

তৃতীয়া ধারণ

ওহে নগরজীবন,একটু থাম!আমি কিছু বলবো।আমি?একাশির প্রডাক্ট,প্রতিদিন একটা বনরুটি ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে খাই,পায়ে হেটে কমলা খাটতে যাই বনমালীর দপ্তরে,মাস না গেলেও হাজার পাচেক টাকা পাই,বিড়ি ফুকি লাক্খানেক,বছর শেষে আমার ঘরের ডিম বাত্তি নিভু নিভু করে।বলে পেটে একটু গোবর ঢাল।না না বাজে নেশা আমার নেই,দেখলেই ভুরি কাপিয়ে ধপাস হয়ে যাই !

মন দিয়ে পড়ছেন না!লিখতে কনিষ্ঠা কাকাবে ব্যথায়,দাত কির কির করবে,বেদনা হবে মনে।না পড়লে পায়ে ধরব না।আমার ইজ্জত আছে।ধুলোতে মিশলে তোমারটাই মিশুক।আমি কি প্রাণে মর্যাদাহীন হতে পারি?বলে নাই তোমাকে কেহ,মান যাবার থেকে মরে যাওয়া ভালো! বলেনি,আমার বাবাকে কিন্তু বলেছিল কমন জেন্ডারের এক পাবলিক ।বাবা প্রতিদিন উঠোন থেকে কুকুর তাড়াতো আর বিড় বিড় করত,কি বলত জানিনা।পাগল ছাগল মানুষ,মরবার আগে ভিম ভীষণ ধরেছিল,আমাকে ইশারায় ডেকে বাবা বলেছিল
:: কুত্তা,একটা বিড়ি দিবি,যুদ্ধে যামু।
হাসি লুকাইতে পারছিলাম কিনা মনে নাই।
:: বাবা বিড়ি নাই,তয় তোমায় একখান বন্দুক আইনা দেই?
:: বিড়ি দে শু....বাচ্চা।
কান্ধে জোর নাই বাবার।বিড়ি টানার জোর দেখি __
:: বিড়ি দে শু....বাচ্চা ..দে দে !!

কিছুক্ষণ পরে বাবার বিড়ি টানার ক্ষমতাও গ্যালো।আমার কান্ধে জোর ছিল।চোখ মুছে বাবার খাটিয়া টানতে গিয়ে বুঝলাম,খাটিয়া বেশ ভারী।

বাবার ওজন কি খুব বেশি ছিল ?

কবরের উঠোনে বাবা কি কুকুর তাড়াতে পারবেন?না পারলে নাই।বিড়ির স্টক খতম।আরো পড়াইতে পারমুনা।আঙ্গুলের ব্যথা মাথার সেন্টিমেন্টের কোষে খোচা দিতাছে।সাদা কালো চোখের কোনাতে সেই খোচা পচাগলা পানির হয়ে মাটির লগে সহবাস করতে চাইতেছে।

বাপজানের আবোল তাবোল কথায় কান দিতে নাই,অন্য কিছু পড়াই,কবিতা? পড়বেন -

দুই দু গুনে পাচ,
লম্বা একটা বাশ।
পাল্টা নাচা,উল্টা
পড়বি গলায় ফাস।
চলতেই থাকবে ...

Read more...